নীলফামারীতে মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো এবং নিরাপদ প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

Nilphamari-photo-27.02.202001-1.jpg

স্টাফ রিপোর্টারঃ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সাতঁ দিন চব্বিশ ঘন্টা(সার্বক্ষনিক) স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদার করণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার অবহিতকরণ এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নীলফামারীর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন এমসিএইচ সার্ভিসেস ইউনিটের বাস্তবায়নে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধীদপ্তরের এমসিএইচ সার্ভিসেস এর পরিচালক ও এমসিআরএএইচ এর লাইন ডাইরেক্টর ডা: মোহাম্মদ শরীফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার নাহিদ হাসান, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মোতালেব সরকার, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শাহজাহান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এলিনা আকতার ও প্যানেল মেয়র ইসাঁ আলী।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, এমসিএইচ সার্ভিসেস ইউনিটের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা: এবিএম সামসুদ্দিন আহম্মেদ, আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: এনামুল হক, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল হালিম, মেডিকেল অফিসার(এমসিএইচ-এফপি) ডা: তাসলিমা খানম, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ওয়াজেদ আলী শাহ প্রমূখ।
মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো এবং নিরাপদ প্রাতিষ্ঠানিক(হাসপাতাল, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র) প্রসবকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এত করে বানিজ্যিক হাসপাতালে করা অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশানের হার অধিকাংশে কমে আসবে।
কর্মশালার প্রধান অতিথি ডা: মোহাম্মদ শরীফ জানান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সার্বিক তত্ত¡াবধানে উপজেলা পর্যায়ে এ কর্মশালাগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। যার মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনগনের অংশীদারিত্ব বলে আশা করা যায়। সকল উপজেলায় প্রাতিষ্ঠানিক স্বাভাবিক প্রসব সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে হবে।
কর্মশালায় আরো জানানো হয়, জরুরী প্রসূতি সেবায় গর্ভবতী মা এবং তার পরিবারকে অর্থ সঞ্চয়ের বিষয়ে উদ্ভুদ্ধ করার লক্ষ্যে মায়ের ব্যাংক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মায়ের ব্যাংক কার্যক্রমটি মূলত: দরিদ্র গর্ভবর্তী মাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এ কর্মসূচীটি প্রসব সেবায় পরিবারের সকলকে আরো দায়িত্বশীল করতে অনুপ্রাণিত করবে এবং জরুরী প্রসূতীদের আর্থিক সংকট দূর করবে। এত করে মাতৃ মৃত্যুরহার ও নবজাতকের মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে যা আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা(এসডিজি) অর্জনে সহায়তা করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top